কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পুরণে জাতীয় শিক্ষাত্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত পুনবিন্যাস্ত শিখন তরান্বিত কৌশল (ARLP) এবং ব্লেন্ডেড রুটিন।
নিচের লিংক হতে ডাউনলোড করা যাবে :-
কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পুরণে জাতীয় শিক্ষাত্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক প্রণীত পুনবিন্যাস্ত শিখন তরান্বিত কৌশল (ARLP) এবং ব্লেন্ডেড রুটিন।
নিচের লিংক হতে ডাউনলোড করা যাবে :-
এখন হতে আপনাকে আর সাতক্ষীরা খুলনাতে যেয়ে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া লাগবেনা। আমরা আশাশুনিতে বসে অনলাইনের মাধ্যমে আপনার আয়কর রিটার্ন জমা করে দিচ্ছি। এখনই আমাদের সাথে যোগা যোগ করুন।
এখান হতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন রুটিন-টিভি (১-১১ নভেম্বর ২০২১ পর্যন্ত) ডাউনলোড করুন।
ধন্যবাদ।
যারা চাকরিজীবী এবং অন্য কোনো খাতে আয় নেই তাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত:
চাকরিজীবীদের মধ্যে কারা রিটার্ন দাখিল করবেন:
১। যাদের করযোগ্য আয় রয়েছে (পুরুষদের মূল বেতন এবং উৎসবভাতার যোগফল ৩ লক্ষ টাকার বেশি, তৃতীয় লিঙ্গ, ৬৫ বছরের উর্ধ্বে এবং মহিলাদের ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বেশি এবং প্রতিবন্ধী করদাতার করযোগ্য আয় ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার বেশি) **
২। যারা ১২ ডিজিটের টিআইএন নাম্বার গ্রহণ করেছেন
৩। গত ২০২০-২১ অর্থবছরের যেকোনো সময় ১৬ হাজার টাকার বেশি মূল বেতন গ্রহণ করে থাকলে
৪। সঞ্চয়পত্র ক্রয়ে মোট বিনিয়োগ ২ লক্ষ টাকার বেশি হলে
৫। ২ লক্ষ টাকার বেশি পোস্টাল হিসাব খুলতে চাইলে
** ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বেতনের হিসাব বলতে জুন ২০২০ মাসের বেতন থেকে মে ২০২১ মাসের বেতন পর্যন্ত বুঝাবে। কারন জুন ২০২০ মাসের বেতন জুলাই ২০২১ মাসে উত্তোলন করেছেন এবং জুন ২০২১ মাসে বেতন পরের অর্থবছর অর্থাৎ ২০২১-২০২২ এর জুলাই মাসে উত্তোলন করেছেন। সাধারণ ভবিষ্য তহবিল (জিপিএফ) এর হিসাবও তদ্রুপ। একজন সরকারি চাকরিজীবীর সম্পূর্ণ অর্থবছরের বেতন ভাতাদি এবং সাধারণ ভবিষ্য তহিবল (জিপিএফ) এর বিবরণী IBAS++ এর Accounting মডিউল হতে DDO ID এর মাধ্যমে ডাউনলোড করা যাবে যদি সম্পূর্ণ অর্থবছরের বেতন ভাতাদি ইএফটি-এর মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়ে থাকে।
যাদের রিটার্ন দাখিল করতে হবেনা:
১। জমি বিক্রয়ের জন্য ১২ ডিজিটের টিআইএন গ্রহণ করেছেন উপরের শর্তগুলোর আওতায় পড়েন না
২। ক্রেডিট কার্ড গ্রহণের জন্য ১২ ডিজিটের টিআইএন গ্রহণ করেছেন কিন্তু উপরের শর্তগুলোর আওতায় পড়েন না
রিটার্ন দাখিল করার শেষ সময়:
৩০ নভেম্বর ২০২১ তারিখের মধ্যে দাখিল করতে হবে। যদি এই
সময়ের মধ্যে দাখিল করা সম্ভব না হয় তাহলে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন দাখিল করতে হবে।
আবেদন মঞ্জুর হলে বের্ধি ত সময়ের মধ্যে রিটার্ন
দাখিল করলে জরিমানা দেওয়া লাগবে না তবে সরল সুদ ও বিলম্ব সুদ আরোপিত হবে। সময় বৃদ্ধির আবেদন ফরম ডাউনলোড
করুন এখান থেকে সময় বৃদ্ধির আবেদন ফরম ডাউনলোড করুন এখান থেকে
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আয়কর রিটার্ন দাখিল না করলে জরিমানা, সরল সুদ এবং বিলম্ব সুদসহ রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
কোন রিটার্ন ফরম ব্যবহার করবেন:
নিচের ১নং, ২নং অথবা ৩নং এর যেকোন একটি ফরম ব্যবহার করে রিটার্ন দাখিল করতে পারেন চাকরিজীবীরা। ৪নং ফরম ব্যবহার করা যাবে যদি শর্ত পূরণ হয়। রিটার্নের ফটোকপিও গ্রহণযোগ্য।
১। সকল ব্যক্তি-করদাতার জন্য Bangla Doc IT-11GA2016 NikoshBan Font ডাউনলোড করুন
এই ফরমের সাথে বেতন তফসিল ২৪-এ বেতন আয় দাখিল করতে হবে।
২। নতুন ফরমের পরিবর্তে পুরাতন ফরম ব্যবহার করতে পারবেন সকল ব্যক্তি-করদাতার জন্য আয়কর রিটার্ন ফরম (IT11GA) ডাউনলোড করুন
৩। শুধুমাত্র বেতনভোগী করদাতার জন্য IT-11 UMA only salary income PDF ডাউনলোড করুন
৪। যে সকল ব্যক্তি-করদাতার করযোগ্য আয় ৪ লক্ষ টাকা এবং সম্পদ ৪০ লক্ষ টাকার উর্ধ্বে নয় এবং যাদের কোন মোটরগাড়ী (জীপ বা মাইক্রোবাস) নেই বা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় গৃহ সম্পত্তি বা এপার্টমেন্ট নেই সে সকল করদাতার জন্য এক পাতার রিটার্ন ফরম IT GHA 2020 ফরম ডাউনলোড করুন
এক পাতার রিটার্নের সাথে ট্যাক্সের আওতায় থাকলে তার হিসাব সংযুক্ত করতে হবে। সম্পদ ও দায়ের হিসাব এবং সংযুক্ত কাগজপত্রের তালিকা অপর পাতায় সংক্ষেপে লিখে দিতে হবে। আলাদা ফরম প্রয়োজন নেই।
তবে মোট পরিসম্পদ (Gross Wealth) এবং সম্পদ ও দায়ের বিবরণ প্রদান করদাতার জন্য অপশনাল।
তাছাড়াও এবার খুব সহজেই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করা যাবে।
etaxnbr.gov.bd এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে e-Return থেকে প্রথমে রেজিস্টেশন করে নিতে হবে। যারা পূর্বে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন তারাও নতুনভাবে রেজিস্ট্রেশন করতে। তারপর লগনইন যথাযথ তথ্য দিয়ে সেভ করে করে সর্বশেষে গিয়ে সাবমিট করতে পারবেন। তাছাড়া অনলাইনে সাবমিট করতে না চাইলে প্রস্তুতকৃত রিটার্ন ফরমটি ডাউনলোড করে অফলাইনে অফিসে গিয়েও জমা দিতে পারবেন।
তবে এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র যাদের আয়করের পরিমাণ শূন্য এবং উৎস কর কিংবা অগ্রীম কর প্রদান করেন ন তারাই অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। আশা করা যাচ্ছে কয়েকদিনের মধ্যেই যারা উৎসে আয়কর কর্তন করছেন তারাও পারবেন। তবে সকল তথ্য ইনপুট করে অফলাইনে সাবমিট করার জন্য ফাইল প্রস্তুত করে ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করতে পারবেন সবাই।
মজার বিষয় হলো এবার অনলাইনে কোনো ডকুমেন্ট স্ক্যান করে আপলোড করার সুযোগ রাখা হয়নি। শুধুমাত্র তথ্য দিয়েই রিটার্ন দাখিল করা যাবে। তবে কর্তৃপক্ষ যেকোনো সময় আনুষাঙ্গিক কাগজপত্র চাইতে পারে তাই সেগুলো প্রস্তুত করে রাখতে হবে। এখানে অনেকেই পরামর্শ দিবেন হাতে হাতে অফিসে গিয়ে কাগজপত্র জমা দিয়ে আসার জন্য যার কোনো প্রয়োজন নেই। প্রয়োজনে এই লিংকে গিয়ে ফেসবুকে একজন কর কর্মকর্তার পোস্ট দেখে নিতে পারেন।
মোট আয়ের উপর আরোপযোগ্য আয়কর:
পুরুষদের ক্ষেত্রে:
প্রথম ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের উপর কর হার শূন্য
পরবর্তী ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কর হার ৫%
পরবর্তী ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কর হার ১০%
পরবর্তী ৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কর হার ১৫%
পরবর্তী ৫লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কর হার ২০%
অবশিষ্ট আয়ের উপর কর হার ২৫%
মহিলা, তৃতীয় লিঙ্গ এবং ৬৫ বছরের উর্ধ্বে করদাতাদের জন্য প্রথম ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয়ের উপর কর হার শূন্য।
পরবর্তী হারগুলো একই
ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ:
ঢাকা উত্তর, ঢাকা দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটিকর্পোরেশনে অবস্থিত করদাতার ন্যূনতম করের হার ৫০০০ টাকা
অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবস্থিত করদাতার ন্যূনতম করের হার ৪০০০ টাকা
সিটি কর্পোরেশন ব্যতিত অন্যান্য এলাকায় অবস্থিত করদাতার ন্যূনতম করের হার ৩০০০ টাকা।
> এখানে উল্লেখ্য, একজন করদাতার আয় যে স্থানেই অর্জিত হোক না কেন তিনি যেখানে অবস্থান করবেন তার সে অবস্থানের ভিত্তিতেই করের হার নির্ধারিত হবে।
> কোন করদাতা একই আয়বছরে একাধিক স্থানে অবস্থান করলে যে স্থানে তিনি সর্বাধিককাল অবস্থান করেছেন সে অবস্থান স্থলের জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম কর হার তার জন্য প্রযোজ্য হবে।
> একজন চাকরিজীবী করদাতা আয়বছরে একাধিক স্থানে কর্মরত থাকলে যে স্থানে তিনি অধিক কাল কর্মরত ছিলেন নূন্যতম করের জন্য সে স্থানই তার অবস্থান স্থল বলে বিবেচিত হবে।
> তাছাড়া, করমুক্ত সীমার উর্ধ্বে আয় আছে এমন করদাতার প্রদেয় আয়করের পরিমাণ তার জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়করের পরিমাণ অপেক্ষা কম হলে, অথবা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত বিবেচনার পর প্রদেয় আয়করের পরিমাণ প্রয়োজ্য ন্যূনতম আয়করের কম, শূন্য বা ঋণাত্মক হলেও করদাতাকে তার জন্য প্রযোজ্য ন্যূনতম আয়কর পরিশোধ করতে হবে।
> বেতন ভাতা ব্যতিত অন্যান্য আয় যেমন লটারী, সম্মানী, পারিশ্রমিক, ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার উপর সুদ ইত্যাদি আয় হতে উৎসে আয়কর কর্তন করা হলে মোট আয় দেখাতে হবে এবং কর্তনকৃত আয় তার মোট করের উপরে অগ্রীম করা প্রদান বলে বিবেচিত হবে।
যেমন: কোন করদাতা যদি উৎস কর ১০ হাজার টাকা কেটে রাখার পর প্রশিক্ষণ খাতে ৯০ হাজার টাকা নীট সম্মানী পান তাহলে সম্মানী খাতে তার মোট আয় দেখাতে হবে ১ লক্ষ টাকা। এই ১ লক্ষ টাকাসহ মোট আয়ের উপর বিনিয়োগজনিত রেয়াত বাদ দিয়ে যদি তার করের পরিমাণ হয় ৩৫ হাজার টাকা, তাহলে উৎসে কর্তনকৃত ১০,০০০ টাকা বাদে অবশিষ্ট ২৫,০০০ টাকা কর পরিশোধ করতে হবে।
বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত:
নির্দিষ্ট কয়েকটি খাতে করদাতার বিনিয়োগ/চাঁদা থাকলে করদাতা বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত পান। মোট আয়ের ওপর আরোপযোগ্য আয়করের অংক থেকে কর রেয়াতের অংক বাদ দিলে প্রদেয় করের অংক পাওয়া যায়।
একজন করদাতার বিনিয়োগজনিত কর রেয়াত পরিগণনার ক্ষেত্রে নিম্নরূপ ২টি বিষয় বিবেচিত হয়:
ক) করদাতার মোট আয়
খ) রেয়াতের জন্য অনুমোদনযোগ্য অংক
রেয়াতের জন্য অনুমোদনযোগ্য অংক হবে-
ক) রেয়াত পাওয়ার যোগ্য খাতে তার প্রকৃত বিনিয়োগ/চাঁদার পরিমাণ;
খ) করযোগ্য মোট আয়ের [82C ধারার (2) উপ-ধারায় বর্ণিত উৎস/উৎসসমূহ হতে প্রাপ্ত আয় এবং কর অব্যাহতি প্রাপ্ত বা হ্রাসকৃত করহার প্রযোজ্য এমন আয় থাকলে তা ব্যতিত] ২৫%
গ) ১ কোটি টাকা
এই তিনটির মধ্যে যেটি কম।
মোট আয় ও অনুমোদনযোগ্য অংক এর ভিত্তিতে আয়কর রেয়াত এর পরিমাণ নিম্নরূপ হারে নির্ধারিত হবে:
মোট আয় ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রেয়াতের পরিমাণ অনুমোদনযোগ্য অংকের ১৫%
আয়কর সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যের জন্য আয়কর নির্দেশিকা ২০২১-২০২২ ডাউনলোড করে নিন
ফোন করতে পারেন ই-ট্যাক্স হেল্পলাইন নাম্বারে: 09612 71 71 71
শেখ রাসেলের মৃত্যুঃ-আগস্ট ১৫, ১৯৭৪ সাল।
শেখ রাসেলের বয়সঃ-১০ বছর।
মৃত্যুর কারণঃ-হত্যা।
জাতীয়তাঃ-বাংলাদেশী।
নাগরিকত্বঃ-বাংলাদেশী।
আদি শহরঃ-গোপালগঞ্জ।
পিতাঃ-শেখ মুজিবুর রহমান
মাতাঃ-বেগম ফজিলাতুন্নেসা
ভাইঃ-শেখ কামাল, শেখ জামাল।
বোনঃ-শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা।
শেখ রাসেল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ঢাকা অঞ্চলের ধানমন্ডিতে ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু ভবনে ১৮ অক্টোবর, ১৯৬৪ সালে জন্মগ্রহন করেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল সর্বকনিষ্ঠ। ভাই-বোনের মধ্যে অন্যরা হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক শেখ কামাল,বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা শেখ জামাল এবং শেখ রেহানা।
শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির মেধাবী ছাত্র ছিলেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রত্যূষে একদল তরুণ সেনা কর্মকর্তা ট্যাঙ্ক দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমণ্ডিস্থ ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাসভবন ঘিরে ফেলে শেখ মুজিব, তাঁর পরিবার এবং তাঁর ব্যক্তিগত কর্মচারীদের সাথে শেখ রাসেলকেও হত্যা করা হয়।শেখ মুজিবের নির্দেশে রাসেলকে নিয়ে পালানোর সময় ব্যাক্তিগত কর্মচারীসহ রাসেলকে অভ্যুত্থানকারীরা তাদেরকে আটক করে। আতঙ্কিত হয়ে শিশু রাসেল কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেছিলেন, “আমি মায়ের কাছে যাব”। পরবর্তীতে মায়ের লাশ দেখার পর অশ্র”সিক্ত কণ্ঠে মিনতি করেছিলেন “আমাকে হাসু আপার (শেখ হাসিনা) কাছে পাঠিয়ে দিন।”
শেখ রাসেলের স্মৃতিকে জাগরূক রাখার জন্য শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র প্রতিষ্ঠা করা হয়। এটি বাংলাদেশের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবল ক্লাব। ১৯৯৫ সালে পাইওনিয়ার ফুটবল লীগে খেলার মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে ক্লাবটি। (সূত্রঃ-উইকিপিডিয়া)
আজ তোমাদের একটি গল্প শুনাবো, তোমাদেরই মতো এক ছোট্ট বন্ধুর গল্প। তখন তার বয়স মাত্র ১০ বছর। ধরতে গেলে দেখা হয়নি পৃথিবীর তেমন কিছুই, কেবল নিজের চারপাশ, একটা মুক্ত আকাশ, মাথার ওপর উড়ে যাওয়া কয়েকটি হলুদ পাখি ছাড়া। তোমাদের মতো তারও ছিল এক দুরন্ত শৈশব, হাসত, খেলত, গল্প করত। বাবা তার দেশের কাজে ভীষণ ব্যাস্ত, মিটিং, মিছিল, কখনো আবার বদ্ধ জেলখানা। তাই বাবাকেও কাছে পেত তেমন বেশি না। তোমরা বাবার সাথে কত মজা কর, তাই না? সেও অবশ্য করত, তবে তোমাদের মতো সারাক্ষণ বাবাকে এত কাছে পেত না। এ জন্য সে কি করত জানো? মাঝে মাঝে মাকেই বাবা বলে ডাকত! বাবাকে কাছে না পেলে কী আর করার আছে বলো?
ভাবছ কার গল্প বলছি? বলছিলাম শেখ রাসেলের কথা, আমাদের শেখ রাসেল,
বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেল। চিনেছ নিশ্চই, রাসেলকে কে না চিনে বলো?
রাসেল এত দিন বেঁচে থাকলে হয়ে উঠত ৫০ বছরের এক পরিপক্ব মানুষ। অবশ্য বয়সের
যাত্রায় তেমনটা পেরে উঠতে পারেনি রাসেল। ঘাতকের বুলেট স্তব্ধ করে দিয়েছে
তার দুরন্ত পথচলা, মুখফোটা হাসি, সে কথা অজানা নয় তোমাদের কারো। তাও প্রায়
৪০ বছর হলো, সেই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। কত দীর্ঘ সময়, কেমন দ্রুতই চলে যায়,
আবার কেমন যেন আটকে থাকে ঠিক সেই একই জায়গায়। সেই জন্যই হয়তো আজ আবার ১৫
আগস্ট, ১৯৭৫ নয়, ২০১৫। ৪০টা বছরের পার্থক্যই শুধু। এই ৪০ বছরে অবশ্য পাল্টে
গেছে পৃথিবীর অনেক কিছুই, মুছে গেছে রাসেলের গা থেকে চুইয়ে পড়া তাজা
রক্তের দাগ। তবুও কেন যেন মনে হয় রাসেল আজও আছে, এইতো বাতাসে ভাসছে তার
অকৃত্রিম হাসি, এইতো সে তার মাকে বাবা বাবা বলে ডাকছে। খুব মন খারাপ লাগছে,
তাই না? লাগবেই তো। এত সুন্দর ফুটফুটে একটা ছেলেকে, যার বয়স নাকি মাত্র ১০
বছর, তাকে মানুষ কেমনে খুন করতে পারে? খুনিরা মনে হয় জানোয়ারই হয়, মানুষ
থাকলে তো এটা কখনোই সম্ভব নয়। রাসেল বুঝত না রাজনীতির কিছুই, কিন্তু তাকেই
কি না হতে হলো রাজনীতির বলি। তার বাবা রাজনীতি করতেন, তাতে রাসেলের কী দোষ
ছিল? রাসেলের আরো কিছু গল্প শুনাই তোমাদের। রাসেল ছিল বঙ্গবন্ধুর সর্বকনিষ্ঠ
ছেলে, তাই পরিবারে আদর একটু বেশিই ছিল, তোমাদের যেমন বাড়ির সবাই আদর করে।
তার বাবা তাকে ভালোবাসতেন খুব। বাসায় ফিরে ঘরে ঢুকে বাবা প্রথমেই খুঁজতেন
রাসেলকে। রাসেল, রাসেল বলে ভরাট কণ্ঠে ডাক দিতেন তার নাম ধরে। রাসেলও
বঙ্গবন্ধুকে প্রচণ্ড ভালোবাসত। বাবাকে কাছে পাওয়ার জন্য, বাবার কোলে চড়ার
জন্য অপেক্ষায় থাকত সব সময়। বাবার ডাক শোনার সাথে সাথেই এক দৌঁড়ে ছুটে আসত
বাবার কাছে। অনেকক্ষণ পর বাবাকে কাছে পেয়ে জড়িয়ে ধরত, কিংবা উঠে পড়ত কোলে।
বঙ্গবন্ধু তাকে কোলে নিয়ে পিঠে হাত বুলিয়ে দিতেন পরম আদরে। বাবার চশমাটাকে দারুণ লাগত তার, তাই সেটা বাবার চোখ থেকে খুলে নিজের চোখে লাগিয়ে নিতে বেশ মজা লাগত ওর। গল্প শুনতে খুবই ভালোবাসত ছোট্ট শেখ রাসেল। বাবা অবসরে থাকলেই গল্প শোনানোর জন্য আবদার জুড়ে দিত, তোমরা যেমন বাবার কাছে বায়না ধর। বঙ্গবন্ধুও সময় পেলে বেশ আগ্রহ নিয়ে গল্প শোনাতেন। রূপকথার গল্প অবশ্য নয়, বাবা শুনাতেন একটি নিপীড়িত দেশ ও তার মানুষ এবং সংগ্রামের ইতিহাস, স্বাধীনতা অর্জনের গল্প। এসব গল্প শুনে হয়তো রাসেলেরও ইচ্ছা জাগত মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার, যুদ্ধ করে দেশটাকে স্বাধীন করার। রাসেলও গল্প শোনাত তার বাবাকে। রাসেল নাকি কথা বলত খুব মজা করে। বরিশাল, ফরিদপুর ও ঢাকার আঞ্চলিক ভাষা ও উর্দু মিশিয়ে শিশুসুলভ কথা বলত রাসেল। শিশুদের কথা তো শুনতে ভালই লাগে। রাসেলের কথা বলার ভাষা শুনে বাবা হেসে উঠতেন, চেষ্টা করতেন জগাখিচুড়ি ভাষায় জবাব দিতেন। এত ব্যস্ততার মাঝেও বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠতেন একজন প্রিয় পিতা। পিতা-পুত্রের আনন্দঘন আড্ডায় পুরো বাড়ি যেন স্বর্গ হয়ে উঠত।
রাসেলের নামকরণের রয়েছে একটি মজার পটভূমি। বাবা ছিলেন ভীষণ পড়ুয়া। জেলে বসেও প্রচুর পড়াশোনা করতেন তিনি। দার্শনিক বার্ট্রান্ড রাসেল ছিল বঙ্গবন্ধুর খুব প্রিয় একজন লেখক। বঙ্গবন্ধু মাঝে মাঝে শেখ রাসেলের মাকে ব্যাখ্যা করে শোনাতেন বার্ট্রান্ড রাসেলের দার্শনিকতা। এসব শুনে রাসেলের ভক্ত হয়ে ওঠেন মা এবং নিজের ছোট সন্তানের নাম রেখে দেন রাসেল। বাবা জেলে থাকায় বাড়িটা থাকত নীরব, রাসেলেরও থাকত মন খারাপ। তাই মা রাসেলের মন ভালো রাখার জন্য বুদ্ধি করে কিনে দেন একটা তিন চাকার সাইকেল। ছোট মানুষ, দুই চাকার সাইকেল চালানোর বয়স তো তখনো হয়নি তার। মায়ের কিনে দেওয়া সাইকেলটা নিয়ে সারাদিন খেলায় মেতে থাকত রাসেল। বাড়ির উঠোনের এ কোণ থেকে ও কোণে সাইকেল চালিয়ে বেড়াত সে। রাসেল কেমন বুদ্ধিমান ছিল জানো? বাসায় একটা ছোটখাটো লাইব্রেরি ছিল। লাইব্রেরির বই থেকে বোনরা তাকে গল্প পড়ে শোনাত। কই গল্প কদিন পর শোনানোর সময় দু-এক লাইন বাদ পড়লে সে ঠিকই ধরে ফেলত। বলত ও, সেই লাইনটা পড়নি কেন? রাসেল মায়ের কাছে দেখে বাড়ির কবুতরগুলোকে খাবার দিত, কিন্তু কবুতরের মাংস খেত না। মজার, তাই না? আসলে রাসেল ছিল বাবার মতোই সাহসী এবং মানুষ ও প্রাণীদেরও ভালোবাসত। টমি নামে রাসেলের একটা পোষা কুকুর ছিল। টমির সঙ্গে ওর খুব বন্ধুত্ব ছিল। তোমাদের মতো রাসেলও তার পোষা টমির সঙ্গে খেলা করত। একদিন খেলার সময় টমি জোরে ঘেউ ঘেউ করে ডেকে উঠলে, রাসেল ভয় পেয়ে যায়, কাঁদতে কাঁদতে ছোট আপাকে বলে, টমি বকা দিচ্ছে। অথচ নিজের খাবারের ভাগও দিত টমিকে। আর সেই টমি তাকে বকা দিয়েছে। এটা সে মেনে নিতে পারত না। এমন একটা চঞ্চল, নিষ্পাপ ছেলেকেও ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালোরাতে ঘাতকের দল মেরে ফেলল। শেখ রাসেল তার সোনালি শৈশব পেরুতে পারেনি আজও। তবে মরেছে কি? না মরেনি, তোমাদের মাঝেই রাসেল বেঁচে থাকবে চিরদিন, সেই ছোট্ট রাসেল হয়ে, তোমাদের বন্ধু হয়ে।
শেখ রাসেল এর ছবি, শেখ রাসেল কত বছর বয়সে ঘাতকের বুলেটে শহীদ হয়, শেখ রাসেল এর জন্মদিন, শেখ রাসেলের মৃত্যু, শেখ রাসেলের জন্মদিনের ছবি, শেখ রাসেল এর জীবন বৃত্তান্ত,শেখ রাসেল রচনা শেখ রাসেলের জন্মদিন ২০২০,শেখ রাসেলের বয়স কত, শেখ রাসেল এর ছবি, শেখ রাসেলকে কে হত্যা করে কত বছর, কত মাস কত দিন বয়সে নিহত হন শেখ রাসেল, শেখ জামাল রাসেল নামের বিখ্যাত ব্যক্তি, শেখ রাসেলের জন্মদিনের ছবি, শেখ রাসেলের জন্মদিন আজ,মানবতার প্রতীকি শিশু শেখ রাসেল,ছোট্ট শেখ রাসেলের গল্প,শেখ রাসেল: একটি স্বপ্নের মৃত্যু
https://web.facebook.com/basharul1/
👉 জাতীয় শিক্ষাক্রম বোর্ডের ১২.০৯.২০২১ তারিখের পত্র
👉 অধিদপ্তরের ১৩.০৯.২০২১ তারিখের পত্র
👉 এনসিটিবি-র ২৯.০৯.২০২১ তারিখের পত্র
👉 ডিপিই-র ২৯.০৯.২০২১ তারিখের পত্র
👍 বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় লেসন প্লান
👎 বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় মূল্যায়নের নমুনা
👍 ইসলামধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা লেসন প্লান
👍 হিন্দুধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা লেসন প্লান
প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ধর্ম বিষয় যুক্ত করে নতুন রুটিন প্রস্তুত করা হয়েছে। উক্ত রুটিন ০২.১০.২০২১ তারিখ হতে কার্যকর হবে।
*** রুটিন ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
সরকারি কর্মচারীদের জিপিএফ এর ব্যালেন্স জানার জন্য হিসাবরক্ষণ অফিসে যোগাযোগ করে জিপিএফ স্লিপ সংগ্রহ করতে হয়। এখন থেকে আর যোগাযোগ করতে হবেনা। অনলাইনে ঘরে বসেই হিসাব পাওয়া যাবে।
২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে সেল্ফ ড্রয়িং অফিসারগণ তাঁদের নিজ নিজ আইবাস++ সফটওয়্যারের আইডি পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগ ইন করে রিপোর্ট থেকে জিপিএফ স্লিপ প্রিন্ট নিতে পারছেন। তবে যারা ২০২০-২১ অর্থবছর হতে ইএফটি-র আওতায় এসেছেন তাদের ক্ষেত্রে কিছু প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর অনলাইনে দেখা যাবে।
অফিসার/কর্মকর্তাগণের জিপিএফ এর তথ্য দেখার জন্য :-
১. নিজ নিজ আইডি পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ ইন করতে হবে
২. Accounting এ প্রবেশ করতে হবে
৩. রিপোর্ট এ যেতে হবে
৪. রিপোর্ট থেকে My GPF Certifiate, My GPF accounts slip এবং My GPF sub-ledger থেকে নিজ নিজ তথ্য বের করা যাবে, প্রিন্ট নেয়া যাবে, সেভ করা যাবে।
published: https://basharulurc.blogspot.com
স্টাফ/কর্মচারীগণের জিপিএফ এর তথ্য দেখার জন্য :-
স্টাফ/কর্মচারীগণের বেতন যেহেতু ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে ইএফটি-র মাধ্যমে প্রদান করা শুরু হয়েছে তাঁদের জিপিএফ এর হিসাবও এখন থেকে অনলাইনে সংগ্রহ করা যাবে।
এর জন্য আপনাকে যা যা করতে হবে:
১.আপনাকে যে কোন ব্রাউজার দিয়ে https://www.cafopfm.gov.bd এই ওয়েব সাইটে প্রবেশ করতে হবে
২. উপরের ডায়লগ বক্স হতে GPF information অংশের Click Here বাটনটিতে ক্লিক করতে হবে
GPF information অংশের Click Here বাটনটিতে ক্লিক করলে নিচের ডায়লগ বক্সের ন্যায় এমন একটি ডায়লগ বক্স আসবে
৩. এবার আপনার এনআইডি নাম্বার, মোবাইল নাম্বার এন্ট্রি করতে হবে (মোবাইল নম্বর যেটি EFT তে দিয়েছিলেন সেই নাম্বার)
৪. যে অর্থবছরের হিসাব চান সেই অর্থবছর সিলেক্ট করে. Submit বাটনে ক্লিক করুন
Submit বাটনটিতে ক্লিক করলে এমন একটি ডায়লগ বক্স আসবে এবং
৬. আপনার মোবাইলে একটি ৪ ডিজিটের ওটিপি যাবে সেই ওটিপি নাম্বারটি Please enter 04-Digit OTP এখানে লিখে Submit বাটনটিতে ক্লিক করুন
৭. আপনার জিপিএফ হিসাবটি এমনভাবে প্রদর্শিত হবে
ব্যাস আপনার জিপিএফ হিসাব আপনার হাতে
এবার কথা হলো এখনই কি সবাই হালনাগাদ হিসাব পাবেন?
না, সবাই পাবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত হিসাবরক্ষণ অফিস কর্তৃক প্রত্যয়ণসহ পূর্বের অর্থবছরের সমাপনী জের যার যার এনআইডি নাম্বারের বিপরীতে এন্ট্রি এবং অনুমোদন না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত হালনাগাদ হিসাব পাওয়া যাবেনা।
আশা করা যায় জুলাই ২০২১ মাসের মধ্যে সবার হিসাব হালনাগাদ হয়ে যাবে। এই কাজটি করার জন্য বেশ কয়েকটি ধাপ সম্পন্ন হয়।
১. প্রথমে জিপিএফ ভলিউমে হিসাবটি সঠিকভাবে সম্পন্ন করতে হয়। ২. এবার একটি প্রত্যয়ণ লিখতে হয় নাম, জিপিএফ হিসাব নম্বর, এনআইডি নাম্বারসহ, ৩. প্রত্যয়ণপত্রটি স্ক্যান করতে হয়। ৪. অডিটরের আইডি থেকে নির্দিষ্ট ব্যক্তির এনআইডি নাম্বার দিয়ে সার্চ করে বের হিসাব জিপিএফ হিসাবটি বের করতে হয়। ৫. স্ক্যান কপিটি আপলোড করতে হয়। ৬. টাকার অংকটি সঠিকভাবে এন্ট্রি করতে হয়। ৭. হিসাবরক্ষণ অফিসারের আইডি থেকে প্রত্যেকের স্ক্যান করা কপি এবং এন্ট্রিকৃত টাকার অংক যাচাই করে এপ্রোভ করতে হয়। ৮. কাজ কিন্তু শেষ হয়নি। ইএফটি যে মাস থেকে শুরু হয়েছে সে মাস থেকে মাসিক কর্তনের হিসাব অটোমেটিক অনলাইনে যুক্ত হয়েছে। তার পূর্বের মাসগুলোর কর্তনের তথ্য জিপিএফ ভলিউম দেখে GPF subscription history তে এন্ট্রি করতে হয়। ৯। যদি জিপিএফ অগ্রীম থাকে তাহলে তো কথাই নেই। আরো দুইখান ধাপ রয়ে গেছে তাদের জন্য। জিপিএফ এর মঞ্জরী এন্ট্রি করতে হয়। তারপর ইএফটি-র পূর্বের মাসগুলোর অগ্রীম কর্তনের তথ্য এন্ট্রি করতে হয়।
এবার আপনার হিসাবটি হালনাগাদ হয়ে গেল।
একবার এপ্রোভ হয়ে গেলে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে সংশোধনের সুযোগ থাকেনা। তাই বেশ সতর্কতার সাথে কাজটি সম্পাদন করতে হয়
আরও একটি তথ্য হলো, ম্যানুয়াল হিসাব নম্বরটি আর থাকছে না। সবারই একটি ডিজিটাল জিপিএফ নাম্বার তৈরি হয়ে গেছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে।
চারদিকে অনেকেই জ্বরে আক্রান্ত। কারও ফ্লু, কারও ডেঙ্গু, কারও আবার চিকুনগুনিয়া। এমনিতে জ্বর কিন্তু খারাপ নয়। শরীরের যেকোনো সংক্রমণ বা প্রদাহের বিপরীতে প্রথম প্রতিরোধব্যবস্থা হলো জ্বর।
শরীরের তাপমাত্রা ৯৯ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপর গেলে জ্বর হয়েছে বলে ধরা যায়। জ্বর হলেই যে ডাক্তারের কাছে ছুটতে হবে বা ওষুধ খেয়ে জ্বর নামাতে হবে, ব্যাপারটি তা নয়। বেশির ভাগ জ্বরই ভাইরাসজনিত। এতে কোনো ওষুধ লাগে না। এমনিতেই পাঁচ থেকে সাত দিন পর সেরে যায়।
জ্বর নামাতে শরীরের নিজস্ব কৌশল আছে। কাঁপুনি ও শীত শীত অনুভূতির মাধ্যমে জ্বর আসে। এরপর ঘাম দিয়ে ছেড়ে যায়। এ সময় শরীর বাড়তি তাপমাত্রা হারায়।
জ্বরে কাবু হলে বাড়িতে কিছু কৌশলের মাধ্যমে নামানোর চেষ্টা করতে পারেন। এতে কাজ না হলে সাধারণ প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ খাওয়া যায়। তবে চিকিৎসককে না জানিয়ে কখনোই দোকান থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে খাবেন না। অ্যাসপিরিন বা আইবুপ্রোফেন-জাতীয় ওষুধও না। তাহলে আসুন জেনে নিই বাড়িতে আমরা কী ব্যবস্থা নিতে পারি।
> খুব জ্বর এলে হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করে নিতে পারেন। পানির তাপমাত্রা আপনার শরীরের তাপমাত্রার চেয়ে দুই ডিগ্রি কম হবে। বাথটাবে বা ঝরনার ধারায় গোসল করা ভালো। বাড়তি তাপমাত্রা পানিতে চলে যাবে। ১৫ থেকে ২০ মিনিটের বেশি ভিজবেন না। গোসল সেরে দ্রুত শুকনো তোয়ালে দিয়ে পানি মুছে নিন। বিছানায় কাঁথা বা কম্বলের নিচে ঢুকে পড়ুন। দেখবেন একটু পর ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যাচ্ছে।
> গোসল সম্ভব না হলে শরীরের ত্বক স্পঞ্জ করতে পারেন। পরিষ্কার সুতির পাতলা কাপড় গামলার পানিতে ভিজিয়ে চিপে নিন। পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকবে (গরম বা বরফ-ঠান্ডা নয়)। এবার এই ভিজে কাপড় দিয়ে সারা শরীর মুছে নিন। ভেজা কাপড় দিয়ে মোছার পর শুকনো কাপড়ের সাহায্যে পানি মুছে নিন। জ্বর না কমা পর্যন্ত এটা করতে থাকুন।
> জ্বরের মধ্যে হারবাল ও গ্রিন চা বেশ কাজে দেয়। চায়ের মধ্যে এক টুকরো আদা, এলাচি, লবঙ্গ বা খানিকটা মধু মিশিয়ে এই হারবাল চা তৈরি করা যায়। অথবা এক বাটি গরম স্যুপ খেলেও দেখবেন ঘাম হচ্ছে এবং জ্বর নেমে যাচ্ছে। এক কাপ পানিতে দুই চামচ আপেল সিডার ভিনেগার ও এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে দু-তিনবার পান করুন। এটি শরীরের তাপমাত্রা বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।
> জ্বর হলে শরীর দ্রুত পানিশূন্য হয়ে পড়ে। তাই প্রচুর পানি ও তরলজাতীয় খাবার খেতে হবে। নয়তো জিব শুকিয়ে যাবে। প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাবে বা গাঢ় হয়ে যাবে। তাই জ্বর হলে দিনে দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করুন।
> জ্বর হলে শরীরের বিপাকক্রিয়া বাড়ে। তাই বাড়তি ক্যালরির প্রয়োজন হয়। অনেকে জ্বর হলে কিছু খাবেন না বলে ঠিক করেন। এতে নিজেরই ক্ষতি। অল্প হলেও পুষ্টিকর কিছু খেতে হবে। জ্বরের রোগীর পথ্য বলে আসলে কিছু নেই। সবই খাওয়া যায়। তবে তেল-মসলাযুক্ত খাবার হজম করতে কষ্ট হয়। বিপাকে ক্যালরিও বেশি খরচ হয়। তাই সহজপাচ্য খাবারই ভালো। সবজি মেশানো জাউভাত, পরিজ, ওটমিল, স্যুপ ইত্যাদি যথেষ্ট পুষ্টি জোগাবে। ফলের রস বা ফল খেতে চেষ্টা করুন। বিশেষ করে ভিটামিন সি-যুক্ত ফল, যেমন: কমলা, মালটা, লেবু, জাম্বুরা, আনারস ইত্যাদি। ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করবে।
জ্বর ১০৫ ডিগ্রির ওপর উঠে গেলে অনেক কাশি, পেটব্যথা, প্রস্রাবে জ্বালা, বেশি বমি হলে, জ্বরের ঘোরে অসংলগ্ন আচরণ করলে বা অচেতনের মতো হলে অবশ্যই দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া জরুরি। এক সপ্তাহের বেশি জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
** একটি মন্তব্য লিখুন **
আবহাওয়া পরিবর্তনের রেশ এখন প্রবল। সঙ্গে চলছে মৌসুমী সর্দি-কাশি, জ্বরও। আশপাশের অনেকেই হয়ত এই রোগগুলোতে আক্রান্ত হয়েছেন, যা আপনারও আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত। হয়ত এরমধ্যেই আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন এবং বাড়াচ্ছেন অন্যান্যদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা।
রোগের তীব্রতা লাগামহীন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে প্রাথমিক দিনগুলোতে ঘরোয়া কিছু করণীয় ও বর্জণীয় বিষয় মেনে চললে ওষুধ ছাড়াই আরোগ্য লাভ সম্ভব হতে পারে।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে সংগ্রহ করা তথ্যের আলোকে জানানো হল এই বিষয়গুলো সম্পর্কে।
করণীয়ঃ-
প্রচুর তরল পানঃ মৌসুমি রোগ নিয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হলে প্রথম উপদেশই পাবেন প্রচুর পানি ও অন্যান্য তরল পান করার। এর কারণ হল জ্বরের কারণে তাপমাত্রা বাড়লে শরীর দ্রুত পানিশূন্যতার দিকে যেতে থাকে। তাই পর্যাপ্ত পানির সরবরাহ এখানে অত্যন্ত জরুরি। কুসুম গরম পানি, ফলের শরবত, ডাবের পানি, চা- যে কোনো তরল খাবারেই বাধা নেই। সর্দি-জ্বর থাকলে প্রতিদিনের লক্ষ্য হবে আট থেকে ১২ গ্লাস পানি পান করা। আর বেশি তরল পান করলে শরীর থেকে জীবাণু ও অন্যান্য বিষাক্ত উপাদান বেরিয়ে যাওয়া সহজ হয়।
বিশ্রামঃ অসুস্থ অবস্থায় যত বেশি সক্রিয় থাকবেন ততই আপনার শরীরের তাপমাত্রা বাড়বে। তাই বিশ্রামে থাকলে তাপমাত্রা কমবে এবং রোগমুক্তি হবে দ্রুত। মৌসুমি সর্দি-কাশি, জ্বর সারাতে ওষুধ সবসময় প্রয়োজন না হলেও জ্বর ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তারও বেশি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রাখা নিরাপদ। জ্বরের সঙ্গে শরীর ব্যথা, মাথা ব্যথা, ঘাড় শক্ত হয়ে থাকা, বমি ইত্যাদি উপসর্গ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া আবশ্যক।
গোসলঃ কপাল এবং ঘাড়ের পেছনের অংশে জলপট্টি দেওয়া জ্বর কমাতে অত্যন্ত কার্যকর। পুরোদস্তুর গোসলের পরিবর্তে কুসুম গরম পানিতে ভেজানো কাপড় দিয়ে শরীর মোছাও দ্রুত জ্বর কমাতে সাহায্য করে। চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া জ্বর নিয়ে ঠাণ্ডা পানিতে গোসল করা যাবে না। অন্যথায় শরীরে কাঁপুনি দেখা দিতে পারে এবং জ্বর আরও বেড়ে যেতে পারে।
বর্জনীয়
শরীরে ‘অ্যালকোহল’ মালিশঃ জ্বর কমানো প্রাচীন এক পদ্ধতি এটি। যা মোটেই নিরাপদ নয়। এই পদ্ধতি জ্বর সারাতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অকার্যকর। বরং তা ডেকে আনতে পারে ‘অ্যালকোহল’জনীত বিষক্রিয়া।
বরফ গোসলঃ বরফ শীতল পানি বা বরফ ভাসা পানিতে গোসল করা হয়ত শরীরের তাপমাত্রা কমাবে, তবে তা ডেকে আনবে কাঁপুনি। ফলাফল, জ্বর আরও বাড়বে। কক্ষ তাপামাত্রার পানিতে গোসল করাই যেখানে মানা, বরফ শীতল পানিতে গোসলের কথা সেখানে অবান্তর।
দ্বিগুন ওষুধ সেবনঃ দ্রুত জ্বর থেকে মুক্তি পেতে চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ দ্বিগুন পরিমাণে সেবন কিংবা একই সঙ্গে দুই ধরনের ওষুধ সেবন কোনো উপকারে আসবে না। বরং তা হতে পারে জ্বরের থেকেও বিপদজনক। বেশি ওষুধ খেলে শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত কমে যাবে না। তবে এমনটা করলে শরীরের বিভিন্ন অভ্যন্তরীন অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে, বিশেষত, বৃক্কের।
শিশুদের ক্ষেত্রে যখন চিকিৎসক জরুরিঃ শিশুর তিন মাস বয়সের মধ্যে জ্বর হলে তাপামাত্রা ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলেই চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে। বয়স তিন থেকে ছয় মাসের মধ্যে হলে জ্বর ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইট পার করে গেলে এবং শিশু ঘুমকাতুরে কিংবা অত্যন্ত কান্নাকাটি করলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। ছয় থেকে ২৪ মাস বয়সি শিশুর ক্ষেত্রে জ্বর ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে এবং তা একদিনের বেশি স্থায়ী হলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। জ্বরের সঙ্গে ডায়রিয়া, বমি এবং ত্বকের ‘র্যাশ’ হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে হবে।
জ্বর কমাতে তিনটি বিষয় করতে হবে আর বাদ দিতে হবে তিনটি কাজ।